বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশই শিশু। শিশুরা সাধারণত তাদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বা সতর্ক না হওয়ার কারণে তাদের ওপর এই রোগের প্রভাব বড়দের চাইতে আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বর্ষা মৌসুমে ও শহরে বস্তি এলাকায় ডেঙ্গু বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ শনাক্ত হয়েছে। DENV1 , DENV2, DENV3 & DENV4. এডিস মশা এ রোগের বাহক। কোনো মানুষকে ডেঙ্গু আক্রান্ত মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ শুরু হয়। অর্থাৎ মানুষের শরীরের জীবাণু প্রবেশের পর সাধারণত ৩ থেকে ১৪ দিন পরে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। একাধিক টাইপে বা দ্বিতীয়বার আক্রান্তের ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হয়।
লক্ষণসমূহঃ
১. ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ জ্বর, সাধারণত ১০৩ বা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠে যেতে পারে শিশুর।
২. জ্বরের পাশাপাশি শিশুর শরীর ব্যথা থাকতে পারে। তবে ব্যথার কথাও অনেক শিশু বোঝাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অনেকে শিশুর খাওয়া কমে যায়। দেখলেই বোঝা যায়, সে কোনো অস্বস্তিতে ভুগছে। অনেক সময় কান্না করে অনবরত। চারপাশের পরিবেশের প্রতি বিরক্ত থাকতে পারে।
৩. আরেকটি বড় লক্ষণ হচ্ছে এই জ্বরে কোনও ধরনের ঠান্ডা লাগা কিংবা কাশি থাকে না।
৪. জ্বরের পাশাপাশি বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা থাকতে পারে শিশুর।
৫. জ্বর পরবর্তী সময়ে শিশুর শরীরে লালচে র্যাশ ওঠাও ডেঙ্গুর অন্যতম লক্ষণ।
৬. ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর প্রস্রাব না হওয়া ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।
৭. শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক চঞ্চলতা থাকে না - শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং ঝিমাতে থাকে। অযথা কান্নাকাটি করে।
৮. জ্বর পরবর্তী সময়ে শরীরে লালচে র্যাশ ওঠাও ডেঙ্গুর অন্যতম লক্ষণ।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের ৩-১৪ দিন পরে শুরু হয়। উচ্চ মাত্রার জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশি, জয়েন্টের ব্যথা ও ত্বকের ফুসকুড়ি ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম লক্ষণ। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সাধারণত ২-৭দিন স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ মানুষই এক সপ্তাহ পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তবে গুরুতর ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে আবার মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হয়, যেখানে প্লাজমা লিক, তরল জমা, শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক রক্তপাত বা অঙ্গ দুর্বলতার কারণে রক্তচাপ বিপজ্জনক মাত্রায় নেমে যেতে পারে।
ফলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হতে পারে, অনেক সময় এর থেকে মৃত্যুও হতে পারে। এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক কিছু লক্ষণ যেমন- তীব্র পেটে ব্যথা, ক্রমাগত বমি, শ্বাসকষ্ট ও অস্থিরতা দেখলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে।
ডেঙ্গু জ্বরের পাঁচ থেকে সাত দিন সময়কালে ‘মারাত্মক ডেঙ্গুর’ চিহ্নাদি দেখা দিতে পারে। যেমন ডেঙ্গু শক সিনড্রোম, শরীরে পানি জমা, নাড়ি দুর্বল, শীতল শরীর (তাপমাত্রা ৯৬.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কম), রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম, অতিরিক্ত রক্তপাত, লিভার: এএসটি বা এএলটির মান এক হাজার বা বেশি, অচৈতন্য অবস্থা, হার্ট ও অন্য অঙ্গে রোগের লক্ষণ প্রভৃতি।
সতর্কতা:
মনে রাখবেন ডেঙ্গু জ্বর হলে সব প্রকার জটিলতাসমূহ শুরু হয় জ্বরের শেষের ভাগে অথবা জ্বর ভালো হওয়ার পরে। এসময় হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার কমে রোগী শকে চলে যেতে পারে। তাই জ্বরের শেষ অংশে অথবা জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার পরবর্তী ২--৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে Platelets count ভাল আছে অথবা জ্বর নাই আর কোনো সমস্যা হবে না, এটা ভাববেন না।
যদিও ডেঙ্গু জ্বর হলে অধিকাংশ রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না। শুধু নিম্নলিখিত কারণে রোগীর ভর্তির প্রয়োজন হয়-
১. বাচ্চা অস্থির হলে।
২. Blood Pressure কমে গেলে।
৩. প্রচণ্ড পেট ব্যাথা / বমি হলে।
৪. পেটে বা বুকে পানি আসলে।
৫. Platelets count দ্রুত কমে গেলে।
৬. রক্তক্ষরণ হলে।
ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষাঃ
ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা দুই ধরনের হয়। এর মধ্যে একটি ডেঙ্গুজ্বর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করতে হয়। এরপর এই পরীক্ষা করলে সেটার রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। আরেকটি টেস্ট আছে যেটা পাঁচদিন পর করলে তারপর পজেটিভ আসে ফল। এই শুরুর তিন দিন এবং পাঁচদিন পরবর্তী সময়ের মধ্যকার যে দুই দিন রয়েছে, সেই দুইদিন কোনও পরীক্ষাতেই ডেঙ্গু ধরা পড়ে না। তবে কখন কী পরীক্ষা করতে হবে, সেটা চিকিৎসকই বলে দেবেন। ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর উপসর্গ সেভাবে বোঝা না গেলেও অতিরিক্ত জ্বর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণত নিম্ন বর্ণিত পরীক্ষাগুলো করা হয়।
১. NS 1
২. IgM & IgG for dengue
৩. CBC
৪. Platelet count,
৫. SGPTএবং SGOT
NS 1: এটা সাধারণত জ্বর আরম্ভ হওয়ার দিন থেকে শুরু করে প্রথম তিন দিন পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাতদিন পর্যন্ত পজিটিভ হতে পারে।
IgM for dengue: এই পরীক্ষাটি জ্বর শুরুর পাঁচ দিন পর অর্থাৎ জ্বরের ষষ্ঠ দিনে থেকে শুরু করে প্রায় মাসাধিক পজেটিভ থাকে।
IgG for dengue: এই পরীক্ষাটি পজিটিভ হলে বর্তমানে নয় বরং পূর্বে কখন ডেঙ্গু হয়েছিল এটার ইঙ্গিত বহন করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে জ্বরের প্রথম তিনদিন NS 1 পজিটিভ অথবা ষষ্ঠ দিন থেকে IgM পজিটিভ হবে কিন্তু জ্বরের চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনের মধ্যে NS 1 এবং IgM দুইটি test নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। তাই এ সময়ে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে উপরোক্ত পরীক্ষাগুলো নেগেটিভ হলেই ডেঙ্গু হয় নাই এটি শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ কোনো পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
CBC: ডেঙ্গু জ্বরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের পাশাপাশি CBC তে Total Count, neutrophil count, platelet count এবং Hematocrit দেখেই সাধারণত রোগীর অবস্থা কেমন আছে তা বিবেচনা করা হয়।
CBC রিপোর্টে হেমাটোক্রিট বেড়ে গেলে, WBC কাউন্ট, নিউটোফিল কাউন্ট ও প্ল্যাটলেট কাউন্ট কমে গেলে অথবা SGPT এবং SGOT পরিমাণ বেড়ে গেলে রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে বিবেচনা করা হয়। আবার রিপোর্টে এর বিপরীত চিত্র হলে রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে বিবেচনা করা হয়।
ডেঙ্গু কখন জীবননাশের মতো ভয়াবহ হয়? ঃ
হেমোরেজিক ডেঙ্গু কিংবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের ক্ষেত্রে রোগীর জীবননাশের আশংকা থাকে। তবে শুরু থেকেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকতে পারলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবননাশের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশেই।
চিকিৎসা ও প্রতিকারঃ
- শিশুর জ্বরের সাধারণ উপসর্গকে শিশুর ‘অন্যান্য মৌসুমি জ্বরের’ লক্ষণ মনে করে বসে না থেকে জ্বর হওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। অন্যথায় ‘বিপজ্জনক চিহ্ন’ বা ‘মারাত্মক ডেঙ্গুর’ চিহ্নাদি নিয়ে শিশুর সংকটজনক অবস্থা হতে পারে।
- জ্বর পুরোপুরি চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর রোগী বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। প্রয়োজনে রক্ত বা প্লাজমা সঞ্চালন এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের ত্বরিত বিশেষ চিকিৎসা নিতে হবে।
- পর্যাপ্ত চিকিৎসায় ডেঙ্গু আক্রান্তে মৃত্যুহার ১ শতাংশ। কিন্তু শক দেখা দিলে, তা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকলাবস্থা (পিএমআইসি), চিকিৎসাকালীন ওভারহাইড্রেশন, ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার মতো দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ভোগা শিশুর ক্ষেত্রে ডেঙ্গু বেশি প্রাণঘাতী।
- রোগ জটিলতা থেকে পরবর্তী সময়ে চুল পড়ে যাওয়া, ডিপ্রেশন, ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস ও গিয়েন বারির মতো স্নায়ুরোগের ঝুঁকি থাকে।
- এখন বৈশ্বিকভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় এডিস মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা। শিশুকে ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট ও মোজা পরানো। দিনেও মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
বাবা-মায়ের করণীয়:
১. শিশুর জ্বর হওয়ার প্রথম দিনেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। ‘মৌসুমি জ্বর’ ভেবে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। দেরি হলেই লক্ষণগুলো প্রকট হয়ে শিশু সংকটজনক পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। চিকিৎসকের সন্দেহ হলে প্রথম বা দ্বিতীয় দিনেই ডেঙ্গু এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত করানো যায়।
২. জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ বা ঔষধ ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর খাওয়ানো উচিত। জ্বর যেনো বাড়তে না পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত। এ সময় প্রায় প্রতিদিন রক্তের অণুচক্রিকার পরিমাণ দেখা উচিত।
৩. এ সময় শিশুকে বিশ্রামে রাখুন, প্রচুর পানি বা তরল খেতে দিন। রক্ত বাড়ায় যেসব খাবার সেসব খাবার শিশুকে প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
৪. শিশু খেতে না চাইলে তাকে অল্প অল্প করে বার বার খাওয়ান। শক্ত খাবার খেতে না পারলে তা নরম করে দিন। বিভিন্ন ফলমূলের জুস করে খাওয়াতে পারেন।
৫. শিশুর মা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলেও সেই ভাইরাসের কোন প্রভাব মায়ের বুকের দুধে পড়ে না। কাজেই আক্রান্ত অবস্থায় মা তার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন।
৬. জ্বর কমে যাওয়ার পরও যদি শিশু বেশি অসুস্থতা অনুভব করে, তবে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি। প্রয়োজনে রক্ত বা প্লাজমা সঞ্চালন এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের বিশেষ চিকিৎসা নিতে হবে।
৭. মনে রাখতে হবে, জ্বর নেমে যাওয়ার পরই আসলে জটিলতা শুরু হয়। তাই জ্বর সেরে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন।
প্রতিরোধঃ
শিশুদের ডেঙ্গু সুরক্ষা মূলত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর নির্ভরশীল।
১. মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করাঃ এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে হবে। এডিস মশা সাধারণত গৃহস্থালির পরিষ্কার স্থির পানিতে জন্মে থাকে - যেমন ফুলের টব, গাড়ির টায়ার বা ডাবের খোলে বৃষ্টির জমা পানি ইত্যাদি। তাই এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে এমন স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো নষ্ট করে ফেলতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২. মশারিঃ শিশুদের দিনে ও রাতে মশারির ভেতরে রাখতে হবে। বিশেষ করে নবজাতক শিশুকে সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরে রাখা জরুরি। এছাড়া হাসপাতালে কোন শিশু যদি অন্য রোগের চিকিৎসাও নিতে আসে, তাহলে তাকেও মশারির ভেতরে রাখতে হবে। কেননা ডেঙ্গু আক্রান্ত কাউকে এডিস মশা কামড়ে পরে কোন শিশুকে কামড়ালে তার শরীরেও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩. মশা নিরোধক ব্যবহার করুনঃ শিশুরা যে সময়টায় বাইরে ছুটোছুটি বা খেলাধুলা করে, সে সময়টায় তাদের শরীরে মসকুইটো রেপেলেন্ট অর্থাৎ মশা নিরোধীকরণ স্প্রে, ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং কয়েক ঘণ্টা অন্তর পুনরায় এই রেপেলেন্ট প্রয়োগ করতে হবে।
৪. শিশু যদি অনেক ছোট হয় বা তাদের শরীরে ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা না যায়, তাহলে তাদের হাতে মসকুইটো রেপেলেন্ট বেল্ট বা পোশাকে প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. সুরক্ষার জন্য পোশাকঃ মশার কামড় প্রতিরোধে আরেকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হতে পারে শিশুদের ফুল হাতা ও ফুল প্যান্ট পরিয়ে রাখা।
৬. তবে মশা প্রতিরোধ অ্যারোসল, মশার কয়েল বা ফাস্ট কার্ড শিশু থেকে শুরু করে সবার জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। এর পরিবর্তে মসকুইটো কিলার বাল্ব, ইলেকট্রিক কিলার ল্যাম্প, ইলেকট্রিক কয়েল, মসকুইটো কিলার ব্যাট, মসকুইটো রেপেলার মেশিন, মসকুইটো কিলার ট্র্যাপ ইত্যাদির সাহায্যে নিরাপদে মশা ঠেকানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে এই সরঞ্জামগুলো যেন শিশুর নাগালের বাইরে থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন মিস্টার তালহা।
৭. যদি শিশুর মা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সেই ভাইরাসের কোন প্রভাব মায়ের বুকের দুধে পড়ে না। কাজেই আক্রান্ত অবস্থায় মা তার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন।
৮। ডেঙ্গু সচেতনতাঃ প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করুন। তাদের বাড়ি-ঘর ও আশেপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করুন।
Comments
Post a Comment