Movie Review with Spoiler: TOOFAN !


অবশেষে দেখে আসলাম বহুল আলোচিত Toofan সিনামা। সবাই এত্ত আলোচনা দেখে রিভিউ না দিয়ে পারলাম না।

এক কথায় বলতে বাংলাদেশী সিনেমা যে এরকম হতে পারে তা চিন্তাই করা যায় না। কাহিনীটাও সুন্দর এবং ইউনিক।
সিনেমায় শাকিবের বউ থাকে নাবিলা। শাকিব আর নাবিলার আবার একটা ছেলে আর একটা মেয়েও থাকে। ছবিতে শাকিব বিরাট বড়লোক। ছেলে মেয়ের কোনো শখ সে অসম্পূর্ণ রাখে না।
স্ত্রী নাবিলাকেও সে অনেক ভালোবাসে। তাই তার সম্পত্তির ৩০% ই সে তার স্ত্রীকে দিয়ে দেয়। সবার চোখে শাকিব একজন ফ্যামিলি ম্যান। কিন্তু নাবিলা যখন ই বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায় সে ৭ দিনের আগে আর বাসায় ফেরে না।
এই সময় একাকীত্ব কাটাতে শাকিব আশ্রয় চায় মিমির কাছে। মিমি তার সামনে লাল চমলক্ক জামা পরে নাচে আর গান গায় "দুষ্টু কোকিল ডাকে দেখো, কুক কুক কুক"।
যাই হোক এভাবে চলতে চলতে একদিন মিমি শাকিব কে জানায় শাকিব জেনো তাকে বিয়ে করে। সে আর হারাম সম্পর্কে থাকতে চায় না। তারপর শাকিব নাবিলার অগোচরে মিমি কে বিয়ে করে৷ গোপনে চলে তাদের সংসার। বছর খানিক পরে মিমির কোল আলো করে আসে শাকিব মিমির একমাত্র ছেলে।
তারপর বড় হয়ে একদিন সেই ছেলে কুরবানির হাটে গিয়ে ১২ লাখ টাকা দিয়ে খাসি কিনে । সময় টিভির সাংবাদিক তাকে ভাইরাল করে দিলে সে জানায় সে বিশিষ্ট শিল্পপতি শাকিব খানের ছেলে। এদিকে শাকিব নাবিলার ছেলে মেয়ে জানায় তাদের আর কোনো ভাই নেই। এই সম্পর্ক ভিত্তিহীন। শাকিব ও জানায় এই ছেলের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে সেই ছেলে ফেসবুকে মিমির সাথে ছবি পোস্ট করে। এতে জানা যায় তার মা আসলে নাবিলা না। তারপর পুরো দেশ উত্তাল পাতাল হয়ে যায় এই নিউজে।
তখন সময় টিভির সাংবাদিক আবার নিউজ করেন - " ছাগল কিনে বিপদে পড়লেন এক যুবক, সম্পর্ক কি আসলেই বদলে গেলো একটি ছাগলে? "
উপস। সময় টিভি দেখতে দেখতে রিভিউ লিখতে বসে লিখতে লিখতে আমি মনে হয় ভুলে দুই কাহিনী মিলায় ফেলসি! স্যরি!


Comments